এবার ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্মিংহাম দেউলিয়া হয়ে গেছে। বার্ষিক বাজেট ঘাটতির কারণে এরই মধ্যে নিজেদেরকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে শহর কর্তৃপক্ষ বার্মিংহাম সিটি কাউন্সি। জানিয়েছে, কাউন্সিলে ব্যয় করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এখন শুধুমাত্র শহরের অতি গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলোয় নজর দেয়া হবে। প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীন বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল শুধু ব্রিটেন নয়, ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ কাউন্সিল।
যার শতাধিক কাউন্সিলর রয়েছে। ১০ লাখের বেশি মানুষকে সেবা প্রদান করেন তারা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত বাজেট পাচ্ছে না কাউন্সিল। এর জন্য কনজারভেটিভ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারকে দায়ী করে গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে শহর কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা আর শহরের ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না।
সিটি কাউন্সিল আরও জানায়, এ কারণে লোকাল গভর্নমেন্ট ফিনান্স অ্যাক্ট ১৯৮৮-এর অধীনে তারা শহরে ১১৪ ধারা জারি করেছে। লেবার পার্টির কাউন্সিল নেতারা এই পদক্ষেপকে তহবিল পেতে ‘অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা বলেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়া এই মূহুর্তে কাউন্সিলের হাতে অতিরিক্ত কোনো অর্থ নেই।
কাউন্সিল জানায়, বেতন দেয়ার মতো তহবিলের সংস্থান নেই। তাছাড়া বাজেটে ৮৭ মিলিয়নের ঘাটতিও রয়েছে। এক বিবৃতিতে লেবার পার্টির স্থানীয় নেতা জন কটন ও উপ-নেতা শ্যারন থম্পসন বলেছেন, ‘সারা দেশে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতো বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল অভূতপূর্ব আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এডাল্ট স্যোশাল কেয়ারের জন্য বিল এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের নাটকীয় হ্রাস, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের জন্য ব্যাপক ঘাটতির মুখে পড়েছে কাউন্সিল।’
এদিকে শ্যারন থম্পসন বলেন, লেবার পার্টি নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় বছরের পর বছর বাজেট কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। ২০১০ সালে ক্ষমতায় আর পর থেকেই এমনটা করছে কনজারভেটিভ সরকার। এভাবে গত ১৩ বছর ধরে প্রায় ১২৫ কোটি ডলার তহবিল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদিকে কনজারভেটিভ সরকার বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলের প্রশাসনের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ডাউনিং স্ট্রিট স্বীকার করে বলেছে, কাউন্সিল আর্থিক সংকটের ঘোষণা দেয়ায় উক্ত কাউন্সিলের বাসিন্দাদের জন্য তা কঠিন পরিস্থিতি বয়ে আনতে পারে।